বেনাপোলে গৃহবধূর মৃত্যু, পলাতক স্বামীসহ বাড়ির সবাই
প্রকাশিত : ০৯:৩০, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
যশোরের বেনাপোলের আমড়াখালী গ্রামে ফাতেমা খাতুন (২৭) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। আর এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির সবাই। নিহত ফাতেমা খাতুন স্থানীয় বেনাপোল পোর্ট থানার পোড়াবাড়ি নারায়নপুর নারায়নপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ফাতেমার মৃত্যু হয়। স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ফাতেমা খাতুনের পরিবারের।
তাদের অভিযোগ, আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে ফাতেমার গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় বাড়ির সকল সদস্য পলাতক রয়েছে। নাভারণ সার্কেল এর এএসপি-নিশাত আল নাহিয়ান এবং বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গৃহবধূ ফাতেমার চার বছর আগে একই থানার আমড়াখালী (কাগমারী) গ্রামের সালাহউদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়। সালাহউদ্দিন পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য সব সময় নির্যাতন করত পরিবারের লোকজন। তারপরও ফাতেমার পিতা নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে ৪-৫ লাখ টাকা দিয়ে জামাই সালাহউদ্দিনকে
একটি কাভার্ডভ্যান কিনে দেন। এরপরও যৌতুকের জন্য ফাতেমাকে প্রায়ই নির্যাতন করা হত।
সোমবার দুপুরেও এনিয়ে স্বামী সালাহউদ্দিনের সাথে ঝগড়া হয় স্ত্রী ফাতেমার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সালাউদ্দিন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মিলে অমানুষিক নির্যাতন করে ফাতেমাকে মেরে গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে
ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেন ফাতেমার পরিবারের সদস্যরা।
এসবি/
আরও পড়ুন